শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দু’পাশে গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের এ অভিযান লোক দেখানো।
পুলিশ এ অবৈধ ফুটপাতে গড়ে ওঠা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ ও কালিয়াকৈরে অসংখ্য দোকানপাট এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা করে আসছে তারা।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর উপজেলার চন্দ্রা, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, কালিয়াকৈর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুই পাশে হাজার হাজার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে দখলদাররা। এতে রাস্তার দুই পাশে দিয়ে পথচারীরা চলাফেরায় চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, ওইসব দখলদারদের সাথে জড়িত রয়েছে আইসৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কিছু সদস্য ও প্রভাবশালীরা। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে সোমবার সন্ধ্যায় নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের (ওসি) রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য চন্দ্রা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কের পাশে থাকা প্রায় শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে ফুটপাতের রাস্তাটি পরিষ্কার করেন পুলিশ। কিন্তু উপজেলার সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ ও কালিয়াকৈরে হাজার হাজার দোকানপাট এখনো রয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনেকেই বলছে পুলিশের এ অভিযান লোক দেখানো অভিযান। এখনো মহাসড়কের দু’পাশে অসংখ্য দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করছে। ওইসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশ ও প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ওসি রইছ উদ্দিন জানান, চন্দ্রা এলাকায় প্রায় শতাধিক দোকান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। লোকবল কম থাকায় সফিপুর,পল্লী বিদ্যুৎ ও কালিয়াকৈরে উচ্ছেদ অভিযান করা সম্ভব হয়নি।তবে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে। এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।